খাঁটি দেশি জাতের মুরগি – প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গলাছিলা
পাহাড়ি অঞ্চলে ঘাস, লতা, ফলমূল ও কীটপতঙ্গ খেয়ে বড় হয়েছে
কোনো ফিড, কেমিক্যাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়নি
ঝুরঝুরে ও মজবুত ফাইবার, রান্নার পরও থাকে গঠন মজবুত
রান্নার সময় ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ দেশি মুরগির ঘ্রাণ
ঝোল, ভুনা বা সিদল– সব রান্নায় মানিয়ে নেয় দারুণভাবে
বাচ্চা ও স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য নিরাপদ প্রোটিন
দেশি স্বাদের প্রতি যাদের ভালোবাসা, তাদের জন্য একেবারে পারফেক্ট
সরাসরি পাহাড়ি পরিবার থেকে সংগ্রহ – টাটকা ও খাঁটি
মান, স্বাদ এবং পুষ্টিতে ১০০% নিশ্চয়তা
প্রতিদিন যা খাই, তার মধ্যে কতটুকু প্রাকৃতিক, আর কতটুকু প্রক্রিয়াজাত – ভেবে দেখেছি কি কখনও? পাহাড়ি দেশি গলাছিলা হলো সেই হারিয়ে যাওয়া খাঁটি স্বাদের প্রতিনিধি, যা শুধু পেট নয়, মনও ভরায়।
এটা কোনো বাণিজ্যিক খামারের প্যাকেজ না। এটি পাহাড়ি অঞ্চলের একেকটা ছোট ছোট পরিবারে বড় হওয়া সেই মুরগি, যাদের খাবার—পাহাড়ের ঘাস, গাছের ফল, লতা, পোকামাকড়। ঘুম ভাঙে কুয়াশা মাখা সকালে, ঘুরে বেড়ায় খোলা মাঠে আর সন্ধ্যা নামে পাহাড়ের কোলে। এই জীবনযাপনই গড়েছে তার মাংসের প্রকৃত ঘনত্ব, তার স্বাদে ভরপুর দেশি ঘ্রাণ।
গলাছিলা মানে এক ধরনের চরিত্র – ধৈর্য, স্বাস্থ্য আর প্রকৃতির ছোঁয়া। রান্না করতে গেলে প্রথমেই বোঝা যায়, এটা ‘ফার্ম মুরগি’ নয়। চামড়ায় দৃঢ়তা, মাংসে ফাইবার, আর ঘ্রাণে ছড়ায় দেশি রান্নার স্মৃতি। রান্না শেষে যে ঝুরঝুরে টেক্সচার আর গভীর স্বাদ তৈরি হয়—তা কোনও ফ্লেভার পাউডার দিয়ে তৈরি হয় না, আসে মুরগিটার জীবনযাপন থেকেই।
বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ। অ্যান্টিবায়োটিক নেই, হরমোন নেই, কোনও কৃত্রিম ওষুধও না। এমনকি যারা রুগ্ন বা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের জন্য আদর্শ প্রোটিন সোর্স। শুধু স্বাদই নয়, শান্তি।
এতটুকু শুনে মনে হতে পারে, দাম একটু বেশি হবে। হ্যাঁ, হতে পারে। কিন্তু এই মাংস আপনি যখন একবার খেয়ে দেখবেন, তখন আর প্যাকেটজাত বা বাজারের দেশি বলে বিক্রি হওয়া মুরগির দিকে ফিরেও তাকাবেন না। কারণ আপনি তখন জানবেন—“আসল দেশি” কাকে বলে।
আমরা “পাহাড় থেকে” টিম দায়িত্ব নিয়ে এই গলাছিলাগুলো সংগ্রহ করি সিলেক্টেড পাহাড়ি উৎস থেকে। প্রত্যেকটা মুরগি হাতে বাছাই করা হয়, যেন কোনো কৃত্রিম কিছু আপনার টেবিলে না পৌঁছায়। আপনি যা দেখেন, সেটাই পান। কোনো ঢাকঢোল নেই। শুধু খাঁটি স্বাদের প্রতিশ্রুতি।
এই গলাছিলা নিয়ে শুধু রান্না নয়, গল্প হয়—মায়ের হাতের রান্না, গ্রামের দুপুর, পিঠা-পায়েসের আড্ডা। এটা খাবার না, এটা নস্টালজিয়া।