সম্পূর্ণ নিজেদের তত্ত্বাবধনে সংগ্রহ করা হয় কাপ্তাই লেকের চাষমুক্ত ন্যাচারাল তাজা দেশি তেলাপিয়া মাছ! প্রতিটি মাছ ১৮–২৫ টিতে এক কেজি হয়ে থাকে। (আস্ত অথবা রেডি টু কুক ক্যাশ অন ডেলিভারি দেওয়া হয়।)
যে কারণে কাপ্তাই লেকের ন্যাচারাল ফ্রেশ তেলাপিয়া মাছ খাবেন!
- স্টক করা হয়না তাই অর্ডার কনফার্ম হওয়ার ১-৪ দিনের এবং মাছ ধরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারিকরা হয়। ধন্যবাদ!
কাপ্তাই লেকের তেলাপিয়া মাছের পরিচিত ও বৈশিষ্ট্য—
কাপ্তাইয়ের তেলাপিয়া (Tilapia Fish) মাছটি অত্যান্ত মজাদার ও স্বাদু মাছ হিসাবে পরিচিত। তেলাপিয়া নামটি আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিঠা পানির মাছকে বুঝায়। তবে বন্য তেলাপিয়া আফ্রিকার স্থানীয় হলেও এ প্রজাতির মাছটি বিশ্বে প্রবর্তিত হয়েছে এবং বর্তমান সময়ে ১৩৫ + দেশে চাষ করা হয়ে থাকে।
কাপ্তাইয়ের তেলাপিয়া দ্রুত বর্ধনশীল মাছদের মধ্যে অন্যতম। এটি একটি উষ্ণ মিঠা পানির মাছ, তবে কিছু প্রজাতি সমুদ্রে বসবাসের জন্য বেশ ভালভাবে মানিয়ে নিতে পারে। আফ্রিকা থেকে, এ প্রজাতির মাছটি বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইউরোপ-ইউএস ও এশিয়াতে নিয়ে আসা হয়।
সাধারণ নাম : তেলাপিয়া Tilapia Fish, Oreochromis, Mozambique tilapia ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নামসমূহ : oreochromis mossambicus তেলাপিয়া মোসাম্বিকাস Tilapia mozambicus ইত্যাদি। তেলাপিয়ার মাছের শরীর ছোট স্কেল এবং একটি দীর্ঘ ডোরসাল ফিন দিয়ে আচ্ছাদিত।
তেলাপিয়া হচ্ছে শক্ত-পোক্ত ও দ্রুত বর্ধনশীল মাছ! যা সাধারণত ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং ওজনের দিক থেকে ১০ পাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম।
মাছটি দেখতে অনেকাংশে বাংলাদেশের বহুল সমাদৃত কই মাছের ন্যায়। কাপ্তাইয়ের তেলাপিয়ায় সারা শরীর ধূসর রঙের আঁশে ঢাকা থাকে, এবং দেহ খুব মোটা ও চওড়া হয়ে থাকে। সানফিশ অথবা ক্র্যাপির মতো আকৃতির এবং মাছের চিক্লিড পরিবারের বিঘ্নিত পার্শ্বীয় রেখা বৈশিষ্ট্য দ্বারা সহজেই সনাক্ত করা যায়। পার্শ্বীয়ভাবে গভীর দেহের সাথে সংকুচিত!
তেলাপিয়া মাছের আধিস্থান আফ্রিকা মহাদেশ হলেও সর্বপ্রথম ১৯৫৪ সালে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। তেলাপিয়া-মাছ বিভিন্ন লেক, নদ-নদী ও ছোট বড় পুকুরে বসবাস করে।
বন্য অঞ্চলে, তেলাপিয়া নদী-হ্রদে বেশ দেখা মিলে। এরা তৃণভোজী প্রাণী যারা প্রধানত প্ল্যাঙ্কটন, শৈবাল এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ পদার্থ খেয়ে বেঁচে থাকে। লেকের সুস্বাদু এ মাছটি খুব সহজেই প্রজনন করে, রোগ প্রতিরোধী, পরিচালনা সহ্য করে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
তবে কাপ্তাই-তেলাপিয়া খুব শক্ত হলেও বেশি দিন প্রতিকূল অবস্থায় থাকলে নানা ধরনের পরজীবী ও ব্যাধির শিকার হতে পারে, এবং মাছের সংখ্যা অতিরিক্ত মাত্রায় হলে অক্সিজেনের ঘাটতি এবং বিষাাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে ব্যাপকভাবে মাছ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা এ প্রজাতির মাছটি বিশেষভাবে যত্ন নিয়ে থাকি, যাতে এটি তার প্রাকৃতিক ভারসাম্যতা ও স্বাস্থ্য ভালোভাবে বজায় রাখতে পারে।
আদর্শভাবে, নদী-নালা ও পাহাড়ি লেক থেকে স্বীকার করা তেলাপিয়া খামারের মাছের তুলনায় উৎকৃষ্ট ও ভাল-মানসম্পন্ন হয়ে থাকে। খামারে চাষের তেলাপিয়া থেকে লেকে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মাছগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং স্বাদের দিক থেকেও অতুলনীয়! এরা পুরো বছর জুড়ে প্রজনন করতে পারে, যা প্রায় ১২০০ ডিম উৎপাদন করে থাকে।
কাপ্তাই লেকের তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ—
আমাদের লেকের তেলাপিয়া মাছগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ সুস্বাদু ও স্বাস্থ্য-সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এটি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারি দিক বর্ণনা করা হলো, যা আমাদের স্বাস্থ্য এবং ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়ক।
উচ্চ প্রোটিন: তেলাপিয়া মাছ প্রোটিনে ভরপুর, যা আপনার পেশী গঠনে এবং শরীরের কোষ পুনর্নির্মাণে কাজ করে। প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এটি একটি আদর্শ খাদ্য।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এই মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ:
ভিটামিন ডি: এটি হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
ভিটামিন বি১২: রক্তের স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সেলেনিয়াম: একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
ফসফরাস: এটি হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক।
পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ: তেলাপিয়ার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: কম ক্যালোরি ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ তেলাপিয়া মাছ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে।
হাড়ের স্বাস্থ্য: ভিটামিন ডি এবং ফসফরাস হাড়ের গঠনে সহায়ক, যা আপনার হাড়কে শক্তিশালী রাখে।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালীকরণ: তেলাপিয়া মাছের ভিটামিন বি১২ ও সেলেনিয়াম আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা আপনাকে রোগ থেকে রক্ষা করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে, যা আপনাকে আরও সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তোলে।