Hotline: 01531532139

Baim fish - বাইম মাছ | Kaptai Lake fish | Pahar Theke

(0 reviews)
In stock

সম্পূর্ণ নিজেদের তত্ত্বাবধনে সংগ্রহ করা হয় কাপ্তাই লেকের অথেনটিক দেশি এ বাইম-মাছগুলো! প্রতিটি মাছ ৪০০—৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। (আস্ত অথবা রেডি টু কুক ক্যাশ অন ডেলিভারি করা হয়।)

কাপ্তাই লেকের বাইম মাছ যে কারণে খাবেন!

  • বাইম মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চর্বি ও প্রোটিন থাকে।
  • নিয়মিত বাইম মাছ খেলে মস্তিষ্কে ডিএইচএ-র পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  • এ মাছে আরো যে সমস্ত পুষ্টিগুন আছে তা যথাক্রমে :

*ক্যালসিয়াম

*জিঙ্ক

*সোডিয়াম(Sodium)

*পটাসিয়াম

  • আয়রন ও খনিজে ভরপুর আমাদের দেশি কাপ্তাই লেকের এ মাছগুলো!

 গবেষকদের মতে,

  •  ''বাইম মাছে মধ্যে কোলিন নামে একটি পদার্থ থাকে।' প্রয়োজনীয় এই পুষ্টি(Nutrition) সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে, এটি ডিএনএ সংশ্লেষে সাহায্য করে।

  • এছাড়াও স্নায়ুতন্ত্র, ফ্যাটের বিপাক ক্রিয়া এবং পরিবহণে সাহায্য করে।

| বি:দ্র: আমাদের মাছগুলো শতভাগ ফরমালিনমুক্ত। তাই স্টক করা হয়না, অর্ডার কনফার্ম হওয়ার ১-৪ দিনের এবং মাছ ধরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি করা হয়। ধন্যবাদ! |


Sold by:
Inhouse product
Pahar Theke

Price:
৳1,150.00 /kg

Quantity:
Minimum 1 Item
(10.6 available)

Total Price:
Share:
কাপ্তাই লেকের দেশি বাইম মাছ—

বাইম মাছ |Baim Fish| ভীষণ জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি মাছ। এটি দেখতে কিছুটা সাপের ন্যায় দীর্ঘ ও প্রায় নলাকার এবং আঁইশবিহীন এ প্রজাতির মাছটির বৈজ্ঞানিকভাবে নাম করণ করা হয়েছে  Mastacembelus armatus,(মাস্তাসেমবিলাস আর্মটাস)। ইংরেজি Tire-track spiny eel এবং Fish Base নামে উল্লেখ্য করা হয়। বাংলাতে বাইম, মাব ও সল বাইম নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ চিনে এদের দেখা যায়। 

বাংলাদেশের কাপ্তাইয়ের বাইম মাছ তার অনন্য পরিবেশ, প্রাকৃতিক খাদ্য, উপযুক্ত প্রজনন পরিবেশ এবং উচ্চ পুষ্টিগুণের জন্য সেরা। এর বৃহৎ আকার, স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ অন্যান্য অঞ্চলের বাইম মাছের তুলনায় এটি অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলেছে। এ কারণে, কাপ্তাইয়ের বাইম মাছ বাজারে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

লেকের বাইম মাছের আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:

আকৃতি ও রং: বাইম মাছের দেহ সরু ও লম্বাটে হয়, এবং এ মাছটির পৃষ্ঠদেশ বাদামী ক্লোর বা ধূসর হয়, এর মধ্যে কালো বর্ণের আঁকাবাঁকা দাগ রয়েছে। যা এই মাছের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। অঙ্কীয়ভাগ হলুদাভাব বাদামী রঙের হয়। মুখ ছোট হয়ে থাকে এবং উভয় চোয়ালে তীক্ষ্ণ দাঁত দেখতে পাওয়া যায়। স্বাদু-পানি ও মোহনা জলের জলাশয় যেমন– নদ-নদী, পাহাড়ি অঞ্চলের কাপ্তাই লেক, পুকুর ও প্লাবনভূমিতে রয়েছে এদের বসবাস। 

বাইম মাছ মূলত নিশাচর, সাধারণত এ প্রজাতির মাছগুলো রাতে সক্রিয় থাকে এবং দিনের বেলায় মাটির গর্তে বা পানির নিচে লুকিয়ে থাকে। প্রধানত বাইম মাছের খাদ্য উপকরণে রয়েছে– কেঁচো, ছোট মাছ ও অন্যান্য ছোট প্রাণীকূল! এরা সাধারণত বর্ষাকালে প্রজনন করে থাকে।

এ মাছটি স্বাদের দিক থেকে বেশ  ব্যতিক্রম হওয়ায় অধিকাংশের কাছে প্রিয় মাছের তালিকায় কাপ্তাইয়ের বাইম মাছের নাম শীর্ষে থাকে। এটি গ্রীষ্মকালের  শুরুতে বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়। আমাদের কাপ্তাইয়ের দেশি বাইম মাছগুলো লেকের স্বচ্ছ ফ্রেশ জলাশয় থেকে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে এবং সরাসরি  লেক থেকে সংগ্রহিত করা হয়।


কাপ্তাইয়ের বাইম মাছ: (Baim fish) কেন এটি সেরা!

কাপ্তাই লেক, বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত মিঠা পানির হ্রদ, যা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের জন্য পরিচিত। কাপ্তাইয়ের বাইম মাছ বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ এবং সেরা হিসেবে বিবেচিত হয় কিছু নির্দিষ্ট কারণের জন্য।

১. প্রাকৃতিক আবাসস্থল-

পরিবেশ ও জলগুণ:

কাপ্তাই লেকের পানির গুণগত মান অত্যন্ত ভালো। লেকটি পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় এর পানি স্বচ্ছ এবং পুষ্টিকর। এ কারণে কাপ্তাই লেকে উৎপন্ন বাইম মাছগুলো স্বাদে দিক থেকে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অধিক শ্রেষ্ঠ।

২. খাদ্য ও পুষ্টি-

প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহ:

কাপ্তাই লেকের পানিতে প্রচুর প্রাকৃতিক খাদ্য পাওয়া যায়, যা বাইম মাছের জন্য উপযুক্ত। এ প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণের ফলে বাইম মাছের বৃদ্ধি এবং স্বাদ উন্নত হয়।

৩. প্রজনন ও বৃদ্ধি-

আবহাওয়া ও পানি প্রবাহ:

লেকের পরিবেশ এবং পানির প্রবাহ বাইম মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বর্ষাকালে নতুন পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে প্রজনন প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

৪. মাছের আকার ও গুণগতমান-

আকার ও ওজন:

কাপ্তাইয়ের বাইম মাছ সাধারণত আকারে বড় এবং ওজনে বেশি হয়। এই বড় আকারের মাছগুলো বাজারে ক্রেতাদের নিকট বেশি চাহিদা রয়েছে। 

৫. স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর-

উচ্চ পুষ্টিগুণ:

কাপ্তাইয়ের বাইম মাছ উচ্চ প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। এই পুষ্টিগুণগুলো এ মাছটিকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর করে তোলে, যা অন্যান্য বাইম মাছের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে।


কেন এ প্রজাতির মাছটি নিয়মিত খাওয়া উচিত!

নিয়মিত বাইম মাছ খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য—

১. উচ্চ প্রোটিনের উৎস-

প্রোটিন:

বাইম মাছ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। প্রোটিন আমাদের শরীরের কোষ গঠনে, মেরামতে এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে সহায়ক।

২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-

বাইম হচ্ছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক।

৩. ভিটামিন ও মিনারেল-

বাইম মাছ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন (যেমন ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২) এবং মিনারেল (যেমন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস) সমৃদ্ধ। এ সকল উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্তের স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

৪. হৃদরোগ প্রতিরোধ-

এতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। নিয়মিত কাপ্তাই লেকের বাইম মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

৫. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি-

বাইম মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ডিপ্রেশন এবং অ্যানজাইটি কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটি স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতা বৃদ্ধিতেও খুবই কার্যকরী।

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ-

প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ক্যালোরি হওয়ায় এ মাছটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্রোটিন বেশি সময় ধরে তৃপ্তি দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

৭. বাইম মাছের চর্বির পরিমাণ কম, যা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।

তাই শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত বাইম মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। ধন্যবাদ!

There have been no reviews for this product yet.
Subscribe Us