( বি: দ্র: ওজনের তারতম্যের কারণে মূল্য কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। )
পাহাড়ি হাঁস (hilly duck):
Hilly Duck বা পাহাড়ি হাঁস বলা হয় যে সমস্ত হাঁস পাহাড়ের বিভিন্ন অঞ্চলে বড় হয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকে এ জাতীয় দেশি হাঁসগুলো অন্যতম জনপ্রিয় প্রজাতি হিসেবে পরিচিত। এরা পাহাড়ের উম্মুক্ত প্রাকৃতিক-পরিবেশে ন্যাচারাল খাবার খেয়ে বেড়ে ওঠে।
স্বাভাবিকভাবেই দেশি হাঁসের মাংস ও ডিম, দুটোই খেতে ভীষণ মজাদার! তবে হাঁসের-মাংসের স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। পাহাড়ি দেশি-হাঁসের নেই কোন তুলনা! এর পুষ্টিগুণ প্রচূর। এদের মাংসে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, প্রোটিন সহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও আমিষের চাহিদা পূরণ করতে হাঁসের মাংস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। স্থানীয় বাজারে এর স্বকীয় স্বাদের জন্যই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
দেশি এ হাঁসগুলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন পার্বত্য এড়িয়া থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। পাহাড়-থেকে টিম (Pahar-theke) আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। ইট-পাথরের শহরে আলাউদ্দিন চেরাগের মত মিলছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের বিশুদ্ধ পাহাড়ি পণ্য। আপনি চাইলে এখন হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন "পাহাড়-থেকে" এর সকল পণ্য।
নিরাপদ Mountain Duck বা পাহাড়ি হাঁসের উপকারীতা:
১.নিয়াসিন: যা অপুষ্টি, স্মৃতিভ্রংশ, দুর্বলতা, হৃদপিণ্ড প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধ করে।
২.ফসফরাস: যা ক্ষুদামন্দা, রক্তস্বল্পতা, পেশী দূর্বলতা, হারে ব্যাথা, স্নায়ু কার্য-ব্যাধি ইত্যাদি আরো অনেক ধরণের সমস্যাগুলোর নিরাময় করে থাকে। মানবদেহের হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান হিসেবে কাজ করে।
৩.রিবোফ্লাভিন: রক্তকোষ, মস্তিষ্কের সুস্থতা, ঠোঁট, হাত-পা ফেটে যাওয়া, চুল পড়া, অবসাদ যাবতীয় ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। শরীরে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য রিবোফ্লাভিন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ! এছাড়াও দেহের শক্তি উৎপাদনের জন্য যে কাজগুলো সম্পাদিত হয়ে থাকে, তা পরিপাকে রিবোফ্লাভিন সাহায্য করে। যেমন: প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রোটেস গ্রহণ, অক্সিজেন নেয়া ইত্যাদি।
৪.আয়রন: যা আমাদের শারিরীক দুর্বলতা, মাথাব্যাথা/ মাথা ঘোরানো, মনোযোগ কমে যাওয়া, স্বরণশক্তির ঘাটতি, শ্বাসকষ্ট, মাংসপেশিতে ব্যাথা, স্থূলতাসহ আরো নানাবিধ শারীরিক-মানষিক ঘাটতিসমূহ এর চাহিদা পূরণ করে থাকে।
৫. জিঙ্ক: হাঁসের মাংস হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। যা আমাদের শারিরীক মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কনজাংকটিভার প্রদাহ, জিহ্বা বা পা ক্ষত, একজিমা, মুখের চারপাশ ক্ষত, সোরিয়াসিসজাতীয় ত্বকের প্রভলেমসহ বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণজনিত রোগ-প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
৬.ভিটামিন বি-৬: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করণ, রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ, খাবারের রুচি, চিন্তা, ঘুম এসবের পিছনে রয়েছে ভিটামিন বি-৬। এটি শরীরের নিউট্রান্সমিটার হিসেবে পরিচিত।
৭. ভিটামিন এ, বি, ও ডি: এই ভিটামিন সমূহ মানবদেহের হাড় এবং দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া চোখের-স্বাস্থ্য ও মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
হাঁসের মাংসে আরো রয়েছে থায়ামিন, ভিটামিন বি-১২ ও ম্যাগনিসিয়াম। যা আমাদের শারিরিক-মানষিক স্বাস্থ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের দেশি হাঁসের (Deshi Duck) মাংস কেন খাবেন?
★উম্মুক্ত জলাধারে পাহাড়ি পরিবেশে পালনকৃত হয় এবং প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে।
★সরাসরি চট্টগ্রাম জেলার পার্বত্য অঞ্চল এর স্থানীয় গৃহিণীদের থেকে সরবরাহকৃত।
★মাংসের স্বাদ ও উন্নত গুণগত মান বজায় রাখতে তাজা এবং ফ্রেশ হাঁসগুলো বাছাই করে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
★অপরিপক্ক বা ছোট হাঁস সংগ্রহ করা হয় না।
★শতভাগ সুস্থ ও অ্যান্টিবায়োটিক মুক্ত।
★এদের মাংস খেতে হয় খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
★ পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনে ভরপুর। প্রচূর ক্যালরির পরিমাণ থাকায় শরীরে ডিওরাইটিক হিসেবে কাজ করে থাকে।
★এদের মাংসে রয়েছে প্রয়োজনীয় উপাদান আয়রন, জিঙ্ক, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, ফসফরাস ও নিয়াসিস, যা আমাদের শরীরের শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং সচল রাখতে সহায়তা করে।
★ওজন বৃদ্ধির জন্য হাঁসের মাংস হতে পারে উত্তম বিকল্প।
★ Pahari Desi Duck এর মাংস অন্য যে কোন মাংসের তূলনায় অধিক পরিমাণ শক্তিশালী ও প্রোটিনপূর্ণ।