সম্পূর্ণ নিজেদের তত্ত্বাবধনে সংগ্রহ করা কাপ্তাই লেকের অথেনটিক দেশি বাচা মাছ। এ জতীয় মাছগুলো ১৫–২০টিতে ১ কেজি হয়ে থাকে। (আস্ত অথবা রেডি টু কুক ক্যাশ অন ডেলিভারি করা হয়।)
কাপ্তাই লেকের বাচা মাছে যে সকল উপকারীতা রয়েছে:
| বি:দ্র: আমাদের মাছগুলো শতভাগ ফরমালিনমুক্ত। তাই স্টক করা হয়না, অর্ডার কনফার্ম হওয়ার ১-৪ দিনের এবং মাছ ধরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি করা হয়। ধন্যবাদ! |
কাপ্তাই লেকের বাঁচা মাছ—
বাচা হচ্ছে মিঠা পানির মাছ। এ প্রজাতির মাছ-কে সিপ্রিনিফরমিস বা সিলুরিফরমিস বর্গের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই বর্গের অন্যান্য মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শিলং, কাজলি, বাতাসি, ঘাউরা ইত্যাদি। কাপ্তাই লেকের বাচা মাছের উপরের অংশ অর্থাৎ মাথা এবং শরীর চাপা হয়। মুখমণ্ডলের আগা ছুঁচালো থাকে। সম্মুখ চোয়াল সামান্য লম্বা, মুখের চিড় গভীর এবং চোখের নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত। এদের দাঁতগুলো তীক্ষ্ণ ও ধারালো। পিঠের কাটার পিছনের দিকটি দেখতে ঠিক রাতের দাঁতের মতো। পিঠ ঈষৎ ধূসর টাইপের, তবে মাছটির রং হয় রুপালি বর্ণের।
কাপ্তাইয়ের বাচা মাছগুলো লম্বায় প্রায় ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। স্রোতময় নদীর পানিতে এরা ঝাঁক বেঁধে চলাফেরা করে থাকে। বাচা মাছের আবাস সাধারণত নদীতে..! এরা পানির উপরিভাগে বেশি থাকে। বর্ষাকালে নদীতে প্রজনন করে। গুলশা মাছের মতো এরাও রাত্রিকালে সাধারণত বেশি সক্রিয় থাকে এবং খাদ্য গ্রহণ করে।
কাপ্তাইয়ের বাচা মাছের খাদ্য তালিকায় থাকে- ছোট মাছ, পতঙ্গ, শেওলা ও শামুক।
বাংলাদেশের নদ–নদীগুলোর মধ্যে পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র নদে বাচা মাছের দেখা মেলে। কাপ্তাই হ্রদে একসময় প্রচুর পরিমাণে বাচা মাছ ছিলো। বর্তমানে সেখানে প্রায় বিলুপ্তির পর্যায়ে! আমাদের পাহাড় থেকে টিম এ প্রজাতির মাছটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বাচা মাছের মতো বিলুপ্তপ্রায় অতুলনীয় স্বাদের মাছ এর প্রজাতি রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি। কেননা এই দুর্লভ এবং দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির মাছগুলো আমাদের অমূল্য সম্পদ!
বাচা গোত্রের আরো দুটি জাতের মাছ রয়েছে, একটি স্থানীয়ভাবে ‘মুরি বাচা’ নামে পরিচিত, যা অনেকটা ছোট আকারে হয়। অন্যটি 'ঘাউরা' নামে পরিচিত। অনেক ক্ষেত্রে বাচা, শিলং ও ঘাউরা মাছের পার্থক্য করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। ঘাউরা মাছের রং এবং আকৃতি বাচা মাছের মতোই। ঘাউরা মাছের পিঠে একটি মাত্র ডানা থাকায় বাচা ও শিলং মাছের দ্বিতীয় ডানাটি পুচ্ছ পাখনার প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে দেখা যায়। ঘাউরার মুখ অনেকটা মোটা হয়।
বাচা, মুরি বাচা, শিলং ও ঘাউরা এই মাছগুলো খেতো প্রায় একই স্বাদের হয়ে থাকে। চলনবিল অঞ্চলের গাঙ ঘাউরা স্বাদে অতুলনীয়। মাছগুলো কাটাবহুল নয় বলে খেতে বেশ নিরাপদ।
কাপ্তাইয়ের বাচা মাছের উপকারীতা:
লেকের বাচা মাছের পুষ্টিমান অনেক বেশি। প্রচূর পরিমাণ আমিষ, প্রোটিন শর্করা ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করে এবং দেহ সুস্থ ও সবল করে তোলে। এ মাছগুলো খেতে হয় অত্যান্ত সুস্বাদু! বাচা মাছে আছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও প্রচূর পরিমাণ আয়রন। তাই নিয়মিত বাচা মাছ খেলে আমাদের দাঁত ও হাড় সুস্থ থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম বাচা মাছে পাওয়া যায়-
ক্যালসিয়াম রয়েছে ৫২০ মিলিগ্রাম, আমিষ ১৮.১ গ্রাম, জলীয় অংশ ৬৮.৮ গ্রাম,
শর্করা ৬.১ গ্রাম, চর্বি ৫.৬ গ্রাম, খনিজ পদার্থের পরিমাণ ১.৪ গ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালরি বা খাদ্যশক্তি ১৪৭ মিলিগ্রাম ও ভিটামিনের পরিমাণ ১৩.০ মিলিগ্রাম।
কেন খাবেন?
বাচা মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রধান কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
1. *প্রোটিনের উৎস*: বাচা মাছ উচ্চমাত্রার প্রোটিন সরবরাহ করে যা শরীরের কোষ গঠনে এবং মেরামতে সাহায্য করে।
2. *ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড*: এই মাছটিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
3. *ভিটামিন ও মিনারেলস*: বাচা মাছ বিভিন্ন ভিটামিন (যেমন ভিটামিন ডি, বি১২) এবং খনিজ পদার্থ (যেমন সেলেনিয়াম, আয়রন) সরবরাহ করে যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করে।
4. *লো ফ্যাট*: এটি একটি লো ফ্যাট মাছ, তাই যারা কম চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে চান তাদের জন্য এটি একটি ভাল বিকল্প।
5. *হাড়ের স্বাস্থ্য*: এই মাছটিতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
6. *ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য*: বাচা মাছের প্রোটিন, ভিটামিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
বাচা মাছ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা হলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।