পাহাড়ি গাছ-পাঁকা বুনো বেল। (ওজনের সামান্য তারতম্যের কারণে মূল্য কিছুটা কম বেশি হতে পারে।)
পুষ্টিগুণে ভরপুর পাহাড়ি বুনো বেল এর উপকারিতা ও গুণাগুণ সমূহ:
খাদ্যশক্তি ১৪০ কিলোক্যালরি,
পানি ৭৭.৫ গ্রাম,
আমিষ ২.৬০ গ্রাম,
শর্করা ৩১.৮ গ্রাম,
ভিটামিন-এ ৫৫ মিলিগ্রাম,
খনিজ পদার্থ ১.৭ গ্রাম,
আঁশ ২.৯ গ্রাম,
চর্বি ০.২ গ্রাম,
থায়ামিন (ভিটামিন-বি-১)
০.১৩ মিলিগ্রাম,
রিবোফ্লাভিন (ভিটামিনবি-২)১.১৯মিলিগ্রাম,
এসকরবিক এসিড বা ভিটামিন সি-৬০ মিলিগ্রাম,
নিয়াসিন (ভিটামিন বি-৬) ১.১ মিলিগ্রাম টারটারিক এসিড ২.১১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৮ মিলিগ্রাম,
লৌহ ১.১ মিলিগ্রাম।
প্রকৃতির অমূল্য উপহার, পাহাড়ি বেল – পুষ্টি, ঘ্রাণ আর উপকারিতায় ভরপুর এক দেশি ফল।
বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল, বিশেষ করে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকা বেল উৎপাদনের জন্য আদর্শ। এখানকার মাটি, আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক পানির উৎস একসাথে মিলে এমন কিছু ফল জন্ম দেয়, যা স্বাদ ও গুণে শহরের বাজারে পাওয়া ফলের তুলনায় বহু গুণে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে অন্যতম হলো – পাহাড়ি বেল।
স্বাদে-মানে দেশি ও অরগানিক
পাহাড়ি বেল সাধারণত বুনো প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠে—তাই এতে থাকে একধরনের খাঁটি স্বাদ, যা চাষের বেলে পাওয়া যায় না। এর বাইরের খোলস তুলনামূলকভাবে পাতলা এবং ভিতরের শাঁস হয় মসৃণ, সুগন্ধযুক্ত এবং টক-মিষ্টি স্বাদের। সাধারণ বেলের তুলনায় এর ফ্লেভার অনেক বেশি ঘন এবং খাওয়ার সময় মুখে লেগে থাকা আরামদায়ক রেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
স্বাস্থ্য উপকারিতায় অনন্য
বেল প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি হজমে সহায়ক, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, পেট ঠাণ্ডা রাখে এবং পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। পাহাড়ি বেল যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো, এতে কোনো কেমিক্যাল বা কীটনাশক ব্যবহৃত হয় না। ফলে এটি আপনার শরীরের জন্য নিরাপদ এবং পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যকর।
বিশেষ গন্ধ ও ঘনত্ব – যা পাহাড়ি বেলকে আলাদা করে
যখন আপনি পাহাড়ি বেল কাটবেন, তখন একটি দারুণ মিষ্টি ও ঘন ঘ্রাণ নাকে আসবে। এটি সাধারণ বেলের মতো হালকা নয়। অনেকেই বলেন, এই বেলের ঘ্রাণে নস্টালজিয়া লুকিয়ে থাকে—গ্রামের দুপুরবেলা, ঠান্ডা শরবত, আর বেলের আচার কিংবা মোরব্বা... সব মনে পড়ে যায়!
পাহাড়ি আচার ও ঘরোয়া রেসিপির নায়ক
এই বেল দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু শরবত, বেলের আচার, মোরব্বা এবং আরও নানা ধরনের হোমমেইড হেলদি খাবার। এতে রয়েছে পেকটিন, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মের গরমে ঠাণ্ডা বেলের শরবত শুধু প্রশান্তিই আনে না, শরীরও রাখে হাইড্রেটেড।
‘পাহাড় থেকে’র গ্যারান্টি কেন আলাদা?
সংগ্রহ করা হয় সরাসরি পাহাড়ি কৃষকদের কাছ থেকে
কেমিক্যালমুক্ত, অরগানিক এবং ন্যাচারাল ফার্মিং
প্রতিটি বেল হাতে বাছাই করা হয় – ঘ্রাণ, রঙ ও শাঁস দেখে
প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ডেলিভারি – ঢাকাসহ সারা দেশে
অর্ডার কনফার্ম করলেই ডেলিভারির জন্য ফ্রেশ কাটিং শুরু হয়
শেষ কথাটা হলো...
পাহাড়ি বেল শুধুমাত্র একটি ফল নয়, এটি একটি জীবনধারার অংশ। আমাদের সংস্কৃতির সাথে মিশে থাকা এই ফলকে শহরের মানুষ প্রায় ভুলতে বসেছে। এবার সময় এসেছে প্রকৃতির স্বাদ ও শক্তিকে আবারও নিজের জীবনে ফিরিয়ে আনার। অর্ডার করুন আজই – সরাসরি পাহাড় থেকে।