Hotline: 01531532139

Chitol Fish - চিতল | Kaptai Lake fish | - Pahar Theke

(0 reviews)
In stock

সম্পূর্ণ নিজেদের তত্তাবধনে সংগ্রহ করা কাপ্তাই লেকের বিশাল (৩-১০) চিতল মাছ! (আস্ত অথবা রেডি টু কুক ক্যাশ অন ডেলিভারি দেওয়া হয়।)

কাপ্তাই লেকের চিতল মাছ কেন খাওয়া উচিত! 

  • এ জাতীয় মাছগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

 চিতলে পাওয়া যায়,

  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, 
  • আয়োডিন, 
  • ভিটামিন ডি, 
  • প্রোটিন, 
  • ফসফরাস সহ নানা খনিজ। 
  • যা আমাদের মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • মস্তিষ্ক বৃদ্ধি করে তোলে।
  • যাদের চোখে সমস্যায় রয়েছে, তাদের জন্য বেশ কার্যকরী!


| বি:দ্র: আমাদের মাছগুলো শতভাগ ফরমালিনমুক্ত। তাই স্টক করা হয়না, অর্ডার কনফার্ম হওয়ার ১-৪ দিনের এবং মাছ ধরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি করা হয়। ওজনের পার্থক্যের কারণে মূল্য কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। ধন্যবাদ! |


Sold by:
Inhouse product
Pahar Theke

Price:
৳900.00 - ৳1,600.00 /kg

Size:
Quantity:
Minimum 1 Item
(143.4 available)

Total Price:
Share:

পাহাড়ি কাপ্তাই লেকের চিতল মাছ-

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পুষ্টিগুণের অদ্বিতীয় উৎস:

কাপ্তাই লেক, বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার একটি মনোরম ও বিখ্যাত জলাশয়, দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র এবং মৎস্য উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত হয়েছে। কাপ্তাই লেকে নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, তবে চিতল মাছ (kaptai Chitol) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চিতল মাছের অনন্য সৌন্দর্য, পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ এ মাছকে অত্যন্ত জনপ্রিয় করেছে।

চিতল মাছের বিবরণ

চিতল মাছ, স্থানীয়ভাবে "চিতল" নামে পরিচিত, এক ধরনের বৃহৎ আকৃতির মিষ্টি পানির মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Chitala chitala। চিতল মাছের দেহ লম্বা ও চ্যাপ্টা, যা দেখতে অনেকটা ছুরির মতো। মাছটির পেছনের অংশে একধরনের উজ্জ্বল চিহ্ন বা ছোপ থাকে, যা এটির চিতল নামকরণের কারণ। চিতল মাছ সাধারণত ১ থেকে ১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে। এর ত্বক সিল্কি এবং রুপালি রঙের, যা পানির মধ্যে ঝিকিমিকি করে।

বাসস্থান এবং খাদ্যাভ্যাস

চিতল মাছ সাধারণত স্থির বা মৃদু প্রবাহিত মিষ্টি পানিতে বসবাস করতে পছন্দ করে। কাপ্তাই লেকের পরিষ্কার ও শান্ত পানিতে চিতল মাছের আদর্শ বাসস্থান। এরা প্রধানত নিশাচর, অর্থাৎ রাতের বেলায় সক্রিয় থাকে এবং শিকার করে। চিতল মাছের প্রধান খাদ্য হলো ক্ষুদ্র মাছ, কৃমি, ক্রাস্টেসিয়ান এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী। এছাড়াও, এরা শৈবাল এবং অন্যান্য জলজ উদ্ভিদও খেয়ে থাকে।

প্রজনন

চিতল মাছের প্রজনন ঋতু সাধারণত বর্ষাকালে শুরু হয়। এ সময়ে স্ত্রী মাছ পানি ও উদ্ভিদের মধ্যে ডিম পাড়ে। পুরুষ মাছ ডিমগুলিকে নিষিক্ত করে এবং ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে প্রায় ৩-৫ দিন সময় লাগে। বাচ্চা মাছগুলি প্রথমে ক্ষুদ্র প্ল্যাঙ্কটন এবং ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে এবং ধীরে ধীরে বড় হয়। কাপ্তাই লেকের চিতল মাছ স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মাছ স্থানীয় জেলেদের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। প্রতিদিন কাপ্তাই লেক থেকে প্রচুর পরিমাণে চিতল মাছ ধরা হয়, যা স্থানীয় বাজারে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। চিতল মাছের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলোতেও চিতল মাছের চাহিদা ব্যাপক, বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠানে।

পুষ্টিগুণ-

চিতল মাছ পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই মাছের মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। নিচে এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  1. প্রোটিন: চিতল মাছ উচ্চমাত্রার প্রোটিন সরবরাহ করে, যা শরীরের পেশী গঠন ও মেরামতে সহায়ক। প্রোটিন মানবদেহের কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  2. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: চিতल মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।

  3. ভিটামিন এবং খনিজ: চিতল মাছ ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সরবরাহ করে। এই উপাদানগুলি হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্তকণিকা উৎপাদন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  4. এন্টিঅক্সিডেন্ট: চিতল মাছ এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

পরিবেশগত প্রভাব

কাপ্তাই লেকের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় চিতল মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মাছ খাদ্য শৃঙ্খলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা জলজ বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য রক্ষা করে। চিতল মাছ ক্ষুদ্র প্রাণী ও শৈবাল খেয়ে পানি পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে, যা লেকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। 

কাপ্তাই লেকের চিতল মাছ শুধুমাত্র একটি স্থানীয় সম্পদ নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং খাদ্য নিরাপত্তার উৎস। এর অর্থনৈতিক, পুষ্টিগত এবং পরিবেশগত গুরুত্বের কারণে চিতল মাছ সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। চিতল মাছের সঠিক সংরক্ষণ নিশ্চিত করে আমরা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদকে সংরক্ষণ করতে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নত করতে পারি। চিতল মাছের পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যের উপকারিতা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই মাছের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে উদ্বুদ্ধ করে।

চিতল মাছ খাওয়ার উপকারিতা-

চিতল মাছের প্রচুর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যের উপকারিতা থাকায় এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এর উচ্চ প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া, এই মাছের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ হাড়ের স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক। চিতল মাছের এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

চিতল মাছের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং সহজপাচ্য হওয়ায় এটি শিশুদের জন্যও উপকারী। এর প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শিশুদের বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই, চিতল মাছ খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক।

There have been no reviews for this product yet.
Subscribe Us