সম্পূর্ণ নিজেদের তত্তাবধনে সংগ্রহ করা কাপ্তাই লেকের পিওর কাতল মাছ। -2-15 কেজি।
কাপ্তাই লেকের কাতলা মাছে রয়েছে:
১. লাইসিন
২. মিথাওনিন
৩. আরজিনিন
৪. টিপট্রোফ্যান।
এ ৪টি প্রোটিন-ই পর্যাপ্ত পরিমাণ-এ পাওয়া যায়।
ভিটামিন—ডি,
ভিটামিন—ই
ভিটামিন—কে।
প্রচুর পরিমাণ-এ পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, দস্তা, আয়রন, সিলেনিয়াম ইত্যাদি মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ-এ থাকার জন্য সব দিক থেকেই এ মাছগুলো পুষ্টিগুণ-এ ভরপুর!
| বি:দ্র: আমাদের মাছগুলো শতভাগ ফরমালিনমুক্ত। তাই স্টক করা হয়না, অর্ডার কনফার্ম হওয়ার ১-৪ দিনের এবং মাছ ধরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি করা হয়। ধন্যবাদ! |
কাপ্তাইয়ের কাতলা মাছ (katol fish):
দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় ও এর ব্যাপক স্বাদের জন্য কাপ্তাইয়ের কাতলা বিখ্যাত। এ প্রজাতির মাছটি উত্তর ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার ও নেপাল এর নদী-হ্রদে পাওয়া যায়।
উপমহাদেশে দেশি কার্প মাছের মধ্যে কাপ্তাই-কাতল মাছ খুবই প্রসিদ্ধ! নেপালে এ মাছটি ভাকুরা নামে পরিচিত। এরা খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি লাভ করে। আকারে অনেক বড় হয়। বিশাল দেহি এ মাছগুলো দেখতে যেমন আলিশান, খেতেও ঠিক তেমন সুস্বাদু!বাজারে বড় কাতল মাছের পর্যাপ্ত পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয় এ মাছের পালন আমিরিকাতে শুরু করা হয়।
কাপ্তাই লেকের কাতল মাছ দেখতে কিছুটা মাকো আকৃতির হলেও মাথা বেশ বড় ও মোটা থাকে। মাছের মধ্যেভাগ চেপ্টা-চওড়া, নিচের চোয়াল বা হাড় বড় এবং মুখ উল্টানো হয়। এর পৃষ্ঠীয় দিকে মসৃণ সারিবদ্ধভাবে সাজানো বড়-ধূসর আঁশ দেখতে পাওয়া যায়।
দেহের উপরের অংশ ধূসর কালো এবং এদের তলদেশ রুপালি-সাদা টাইপের হয়ে থাকে। এটি দৈর্ঘ্যে 182 সেমি (6.0 ফুট) এবং ওজন 38.6 কেজি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। জলাশয়, নদী-নালা, হাওর-বাওর ও লেকের পানির উপরিস্তরে এরা বসবাস করে। সাধারণত কাতল মাছের ওজন ২–৫ কেজি + পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কাতলা বা কাতল মাছ (Catla Fish) প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে বড় হয়। সাধারণত এদের প্রধাণ খাদ্য হচ্ছে-
1. *ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন*: কাতলা মাছ প্রধানত ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন, অর্থাৎ ক্ষুদ্র জলজ উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে থাকে। এগুলো জলাশয়ের পৃষ্ঠে ভাসমান থাকে এবং সূর্যের আলোয় ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় নিজে খাদ্য তৈরি করে।
2. *জুয়োপ্ল্যাঙ্কটন*: কিছুটা বড় হলে কাতলা মাছ জুয়োপ্ল্যাঙ্কটনও খেয়ে থাকে। এগুলো ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী যারা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন খেয়ে বেঁচে থাকে।
3. *ডিট্রিটাস*: কাতলা মাছ মাঝে মাঝে ডিট্রিটাস অর্থাৎ মরে যাওয়া উদ্ভিদ এবং প্রাণীর ক্ষুদ্র কণা খেয়ে থাকে।
4. *ছোট ছোট জলজ প্রাণী*: কাতলা মাছ কখনো কখনো ছোট ছোট জলজ প্রাণী যেমন কেঁচো, কুঁচে ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
এই ধরনের প্রাকৃতিক খাবারগুলো কাতলা মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। সাধারণভাবে ২ বছর বয়সে এরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে।
স্বাদ ও পুষ্টিগুন—
কাতলা অত্যান্ত সুস্বাদু একটি দেশীয় জাতের কার্প মাছ! এ মাছটি একবার খেলে এর স্বাদ কখনোই ভুলা যায় না। পুষ্টির দিক থেকে বর্ণনা করলে এটি একটি উচ্চমানের প্রোটিন-সমৃদ্ধ মাছ! এতে রয়েছে–
1. *প্রোটিন*: প্রতি ১০০ গ্রাম কাতলা মাছের ফিলেটে প্রায় ১৮-২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি দেহের কোষ গঠন, মেরামত, এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
2. *ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড*: কাতলা মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এই ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
3. *ভিটামিন*:
- *ভিটামিন ডি*: হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
- *ভিটামিন এ*: দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
- *ভিটামিন বি১২*: রক্তের লোহিত কণিকা গঠনে এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতায় সহায়তা করে।
- *ভিটামিন বি৬*: প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের বিপাকে সহায়তা করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
4. *মিনারেলস*:
- *আয়রন*: হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে, যা শরীরে অক্সিজেন বহনে গুরুত্বপূর্ণ।
- *জিঙ্ক*: ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।
- *ক্যালসিয়াম*: হাড় ও দাঁতের গঠনে এবং মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
- *ফসফরাস*: কোষের কার্যকারিতায় এবং শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
5. *লো ক্যালোরি*: প্রতি ১০০ গ্রাম কাতলা মাছের ফিলেটে প্রায় ১২২ ক্যালোরি থাকে, যা স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য উপযুক্ত।
6. *লো ফ্যাট*: কাতলা মাছের ফ্যাট কনটেন্ট কম, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
এই পুষ্টিগুণগুলো কাতলা মাছকে একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত করে, যা নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
কাপ্তাই লেকের কাতলা-মাছ কেন খাবেন?
কাতলা মাছ খাওয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত প্রধান উপকারিতা:
1. *উচ্চ প্রোটিন*: কাতলা মাছ প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা পেশী গঠন, মেরামত এবং সামগ্রিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এটি একটি চমৎকার প্রোটিন উৎস যা সহজে হজমযোগ্য।
2. *হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য*: এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এটি কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
3. *ভিটামিন এবং মিনারেলস*: কাতলা মাছ ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, এবং বি ভিটামিনের ভালো উৎস। এছাড়া এতে আয়রন, জিঙ্ক, এবং ক্যালসিয়ামও পাওয়া যায়, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
4. *দৃষ্টিশক্তি রক্ষা*: ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় কাতলা মাছ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে এবং রাত্রিকালীন অন্ধত্ব প্রতিরোধে কার্যকর।
5. *ত্বকের স্বাস্থ্য*: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়ক এবং ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে পারে।
6. *হাড়ের স্বাস্থ্য*: ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হাড়ের গঠন ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
7. *ওজন নিয়ন্ত্রণ*: কাতলা মাছের ফ্যাট কনটেন্ট কম এবং ক্যালোরি কম থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
8. *ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা*: কাতলা মাছের ভিটামিন এবং মিনারেলস ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এ কারণে কাতলা মাছ আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। এটি পুষ্টি, স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ধন্যবাদ!